রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পটুয়াখালীতে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ মুরাদনগরে পুটি মাছ কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন নেতা নয় জনগণের কামলা হয়ে থাকতে চাই- কায়কোবাদ বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

হালি পেঁয়াজেই স্বপ্ন দেখছেন হরিরামপুরের কৃষকরা

দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৫৮২৫ বার পঠিত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় কৃষকরা হালি পেঁয়াজ চাষ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। সকল ফসলের মধ্যে এই পেঁয়াজ চাষ করে অর্থনৈতিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন কৃষকরা। তাই প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পেঁয়াজের চারা রোপণের জন্য মাঠে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন চাষিরা।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পেঁয়াজের ভালো ফলনের আশা করছেন তারা। তবে শ্রমিকের মূল্যবৃদ্ধি, সার-ডিজেল ও কীটনাশকসহ সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ আবাদে খরচ বেড়েছে দেড়গুণের মতো। অন্যবারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ খরচের পরও ফলন ভালো হলে আর আমদানি না করা হলে লাভবান হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার গালা, বাল্লা, চালা, গোপীনাথপুর সহ প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই ব্যাপক পরিমানে হালি পেয়াজের চাষ করা হচ্ছে। সকালের তীব্র শীত ও দুপুরের তীক্ষ্ণ রোদ উপেক্ষা করেই মাঠে চাষ করছেন কৃষকরা। তবে প্রচলিত দেশি পেয়াজের চেয়ে লাল তীর কিং, তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, বারি-১সহ বিভিন্ন উন্নত জাতের পেঁয়াজের চারা রোপণ করা হচ্ছে।

মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফলন পেতে ৯০-৯৫ দিন লাগলেও হালি পেঁয়াজের ফলন পেতে সময় লাগে ১২০-১২৫ দিন। তবে এ জাতের পেঁয়াজ আবাাদ করে কৃষক যেমন নিজস্ব পদ্ধতিতে বছরব্যাপী সংরক্ষণ করে সুবিধামাতো সময় অধিক দামে বিক্রি করতে পারবে, তেমনি এর বীজও সংরক্ষণ করতে পারবে।

গালা ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের কৃষক মাইনদ্দিন ফকির জানান, এ বছর মুরিকাটা পেয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় তিনি হালি পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন। প্রতিদিন ভোর থেকে পেঁয়াজের চারা উত্তোলনের পর জমিতে রোপণ করা হয়। জনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা করে কাজ করা হচ্ছে। তবে একযোগে কাজ শুরু হওয়ায় শ্রমিকের চাহিদা বেশি থাকায় দাম একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যেই হালি পেঁয়াজ রোপণ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

একই এলাকার কৃষক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, এবার আমি ৬ কেজি পেঁয়াজের বীজ বপন করেছিলাম। সেখান থেকে যে চারা উৎপাদিত হয়েছে, তা দিয়ে ৫ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজ রোপণ করছি। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ২২-২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম ভালো থাকায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, এবছর হরিরামপুরে ২০৮০ হেক্টর জমিতে হালি পেয়াজ রোপণ করা হয়েছে। এবং পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..