বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নে ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কর্মসূচির চাল বিতরণে নজিরবিহীন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অসচ্ছল পরিবারের জন্য ৩০ কেজি চাল বরাদ্দ থাকলেও বস্তায় পাওয়া গেছে মাত্র ২২ থেকে ২৩ কেজি। অনিয়মের সংবাদ ছরিয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়লে অবশেষে উপজেলা প্রশাসন চাল বিতরণ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণ কার্যক্রমে ব্যাপক কারচুপি চলছে। উপকারভোগীদের হাতে যে চালের বস্তা তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর ওজন করে দেখা গেছে কোথাও ২২ কেজি, কোথাও বা সাড়ে ২৩ কেজি। অথচ সরকারি কাগজে-কলমে প্রত্যেক সুবিধাভোগীর জন্য নির্ধারিত ৩০ কেজি চাল বরাদ্দ রয়েছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. ইউসুফ আকন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৩ কেজি চাল থাকায় মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আমি দ্রুত অনিয়ম রোধ করে স্বচ্ছতার সাথে চাল বিতরণের দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নওয়াব হোসেন নয়ন তার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার উপস্থিতিতে কোনোপ্রকার অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। তবে যদি কোথাও চালের ঘাটতি থেকে থাকে, তা হয়তো পরিবহন বা বস্তা গোছানোর সময় কম-বেশি হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’
প্যানেল চেয়ারম্যান রিয়াজ সিকদার বলেন, ‘ইউনিয়নের মানুষের আস্থা নষ্ট হওয়ার মতো কোনো ঘটনা আমরা ঘটতে দিতে চাই না। চাল কম দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ অনিয়ম করে থাকে, তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন, ‘যদি সেখানে কম চাল দেওয়া হয়, তবে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। আমি অনিয়মের তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।’