পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বাড়ির উঠান সংস্কারের সময় এক নারী ও তার মায়ের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে পটুয়াখালী সদর থানাধীন ছোট বিঘাই এলাকার একটি বাড়ির উঠানে।
আহত নারী হলেন মোসাঃ হামিদা বেগম (পিতা- মোতাহার সিকদার)। তিনি পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে অবিবাহিত। বর্তমানে হামিদা ও তার মা গ্রামের বাড়িতে বসবাস করলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা ঢাকায় থাকেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জমি নিয়ে প্রতিবেশী আহসান সিকদার ও তার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এর আগেও একাধিকবার তাদের ওপর হামলা ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের নির্যাতনের কারণে হামিদার বাবা ও ভাইয়েরা গ্রামে ফিরতেও ভয় পান।
অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার দিন সকালে বাড়ির উঠান সংস্কারের কাজ চলাকালে একই এলাকার মোঃ রুবেল, ইমরান সিকদার, মোসাঃ মরিয়ম বেগম ও আহসান সিকদার সেখানে এসে হামিদা ও তার মা মোসাঃ সেতারা বেগমের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়।
হামিদা বেগম জানান, আমরা উঠানের কাজ করছিলাম। কোনো কথা কাটাকাটি ছাড়াই তারা এসে আমাদের মারধর শুরু করে। আমাকে মাথায় আঘাত করলে বাম কানের ওপর কেটে রক্ত ঝরা শুরু হয়।
হামলার ফলে হামিদার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাপা ফুলা জখমসহ মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত আঘাত হয়। তার মা সেতারা বেগমও মারধরের শিকার হয়ে আহত হন।
স্থানীয়দের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করলে অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত হামিদাকে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হামিদা বেগম পটুয়াখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছেন তারা।