শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০২:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নান্দাইলে কালিগঞ্জ বাজারের প্রবেশ পথ ৫০০ মিটার রাস্তা এলাকাবাসীর মরনফাঁদ অপারেশনের ৭ মাস পর বৃদ্ধার পেটে মিলল অস্ত্রোপচারের চিমটা সাংবাদিক পুত্র ইব্রাহিম জিপিএ-৫ পেয়েছে রংপুরে বাস উল্টে নিহত ৩ রংপুর ক্যাডেট কলেজের শতভাগ জিপিএ-৫ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ১৩টি বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি নান্দাইলে দু:স্থ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করেন ইউ এন ও সারমিনা সাত্তার আমতলীতে প্রস্তুতি সভা শেষে বিএনপি’র দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-১৫ বরগুনা- ১ ও ২ আসনে ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা কিশোরগঞ্জে গাইটাল আবুল কাশেম কন্ট্রাক্টর মসজিদ সংলগ্ন সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা তলিয়ে জনদুর্ভোগ চরমে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠক ১ বছরে প্রথম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৯৫১ বার পঠিত

মিয়ানমারের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন তথা সেনা সমর্থিত সরকারের ক্ষমতা দখলের পর প্রায় এক বছর পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ে মিয়ানমারের দিক থেকে ধীরগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ভার্চুয়ালি ঢাকা ও নেপিডোর নবগঠিত ‘অ্যাড-হক টাস্কফোর্স ফর ভেরিফিকেশন অব দ্য ডিসপ্লেসড পার্সনস ফ্রম রাখাইন’ লেভেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন দেশটির ইমিগ্রেশন ও পপুলেশন মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাপরিচালক ইয়ে তুন ও।

গত বছরের জানুয়ারিতে চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠকে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত তিনটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আলোকে সব ধরনের সহায়তার প্রস্তাব দেয় ঢাকা। তাছাড়া উভয়পক্ষ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের পূর্ববর্তী আবাসিকতা নিশ্চিতে দেরির কারণ খুঁজে বের করতে কারিগরি পর্যায়ের এই আলোচনায় নিজেদের স্বদিচ্ছার কথা জানায়। বৈঠকে কারিগরি জটিলতা ও তথ্যের ঘাটতির কথা তুলে ধরে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল বৈঠকে অনিষ্পন্ন ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

বৈঠকে প্রত্যাবাসন কমিশনার রেজওয়ান হায়াত বলেন, আটকে থাকা ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে জটিলতা ও ঘাটতি দূর করতে পারলে বাস্তুচ্যুত মানুষদের টেকসই প্রত্যাবাসন কাজ শুরু করা যাবে। এক্ষেত্রে রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের মাঝে আস্থা ফেরানোর ওপর জোর দেন তিনি।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতা প্রদর্শনের বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রত্যাবাসন কমিশনার।

২০১৭ সালের নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের পর এখন পর্যন্ত আট দফায় মিয়ানমারের কাছে ৮ লাখ ৩০ হাজার জনের তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার এর মধ্যে মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে ফেরত দিয়েছে। তবে এ তালিকা এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। কেননা, এ তালিকায় একই পরিবারের অনেকের নাম নেই।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।

২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। কেননা, রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরে ফিরতে রাজি হয়নি রোহিঙ্গারা। তবে ২০২০ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য একমাত্র আশা জাগানোর ঘটনা যেটি ঘটেছে তা হলো- মিয়ানমারে থেকে যাওয়া অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের ওপর সম্ভাব্য গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে তাদের সুরক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) নির্দেশ।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..