নান্দাইল চৌরাস্তা টু তাড়াইল সি এন্ড বি রোডটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। যে রোডকে ভাটি বাংলার প্রবেশদ্বার বলা হয়। যে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য লোক দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু দরিল্লা গ্রামের পুর্ব দিকে যুগের হাওর নামক স্থানে পুলিশ ডিউটি বক্স এর পাশেই সুদীর্ঘ সময় ধরে এক শ্রেণি অসাধু ব্যবসায়ী পচা ডিমের খোসা রাতের আধারে ফেলে যায়। এতে পথচারীরা দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস উঠে। ফলে দুপাশে আধা কিলোমিটার দূর থেকেই যাত্রী সাধারণ মুখ বন্ধ করে স্থানটি অতিক্রম করতে হয়েছে। বিগত কয়েক বছর যাবত এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনে নিকট অভিযোগ করে ও কোনো সুফল পায়নি। উপজেলা প্রশাসনে নতুন নির্বাহী হিসাবে শারমিন সাত্তার যোগদান করলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপর জোর দেন এবং এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নজরে আনলে তিনি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার মাধ্যমে যুগের হাওরের আশপাশে ব্যবসায়ীদের উক্ত স্থানে পঁচা ডিমের খোসা না ফেলার জন্য অবহিত করেন। কি বিষয়টি আমলে না নিলে তিনি সরজমিন পরিদর্শন করে পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় সতকীকরনের সাইন বোর্ড দেয়ার নির্দেশনা দেন।
উক্ত নির্দেশনার ফলে এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। বর্তমানে উক্ত রাস্তার যাত্রী সাধারণ আগের মতো মুখবন্ধ করে চলতে হয়না। খলাপাড়া গ্রামের সাবেক হেলথ ইন্সপেক্টর আলহাজ্ব ময়েজ উদ্দিন মিয়া মজনু জানান, আমরা এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনের নিকট কৃতজ্ঞ। উনার যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেয়া অস্বস্তি থেকে যাত্রা সাধারণ মুক্তি পেয়েছে। নইলে পথচারীদেরকে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
এখন রাস্তায় চলাফেরায় প্রশান্তি বিরাজ করছে।
এই প্রসঙ্গে ইউএনও সারমিনা সাত্তার বলেন, পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় কোন আপস নেই। যারা পরিবেশের বিপর্যয় ঘটায় এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে আমি বদ্ধ পরিকর। তিনি নান্দাইলের প্রতি ইঞ্চি মাটি যেন দুষন মুক্ত রাখতে পারেন এরজন্য সাংবাদিক জনপ্রতিনিধি সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।