বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণজাগরণ দল পটুয়াখালী সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত, বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নে ক্ষুব্দ আমতলী-তালতলী প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এমরান চৌধুরী মোরেলগঞ্জে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক বেতাগীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা: তরুণ প্রজন্মের প্রেরণার উৎস নান্দাইলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিশিষ্ট রাজনীতিক ইয়াসের খান চৌধুরী মির্জাগঞ্জে সমবায় দিবস পালিত প্রশ্ন ফাঁসে নিয়োগ পরীক্ষা, দাতা সদস্যের ছেলের বউয়ের চাকরি! প্রবাসে দলের গতি বাড়াতে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে: দুবাই থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে স্বাগত জানালেন ইউএই কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ

বিসিএসআইআরে ফ্যাসিস্টের দোসররা বহাল তবিয়তে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫
  • ৫৮১২ বার পঠিত
চার কর্মচারীর কাছে জিম্মি বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা।

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের আট মাস পেরোলেও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) এখনো রয়েছে আওয়ামীপন্থিদের কব্জায়। ৫ আগষ্টের পর বিসিএসআইআর এর চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে । নিয়োগ ও গবেষণায় অনিয়ম, পুরস্কার জালিয়াতিসহ বিভিন্ন আর্থিক এবং প্রশাসনিক দুর্নীতির অভিযোগে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে । এখানে চার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আশীর্বাদ পুষ্ট কর্মচারী কাছে জিম্মি বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা । তারা হলেন,ড. সেলিম খান, ড হোসেন সোহরাব, সত্যজিৎ রায় রনি ও ড.নুরুল হুদা ভূঁইয়া কানন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এখানে টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পর এখানে সম্পন্ন হয় টেন্ডার প্রক্রিয়া। পরে ক্রয়কৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দেখিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে সরকারি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এসব অভিযোগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিসিএসআইআরে অভিযান চালিয়ে ভয়ঙ্কর জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া গত বছরের ২৩ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, তথ্য এবং প্রযুক্তি (পিটিএসটি) অডিট অধিদপ্তরের ৫টি প্রতিবেদনেও কয়েক কোটি টাকা নয়-ছয়ের চিত্র উঠে আসে।

অভিযানের সময় সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই প্রকল্পের আওতায় রাসায়নিক কেনা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮০ হাজার টাকার; পরে ৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার টেন্ডার দেখানো হয়েছে। ফলে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযানে দুদকের দল ১১টি যন্ত্রের অস্তিত্ব খুঁজে পায়, যেগুলো কোনো ধরনের টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেনা হয়নি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এগুলো আগামী অর্থবছরে টেন্ডারের মাধ্যমে কেনা হয়েছে বলে দেখানো হবে, যা সম্পূর্ণভাবে নিয়মবহির্ভূত।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. সামিনা আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..