বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে আওয়ামীলীগের ‘অবৈধ লকডাউন’-এর প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির দিন গণপরিবহন চলবে: মালিক সমিতি ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা বন্ধের আহ্বান গণভোটের চেয়ে আলু চাষিদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি প্রয়োজন: তারেক রহমান আগামীকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা বেতাগীতে উপকূল দিবস পালিত মোরেলগঞ্জে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ অনলাইনে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্য সেজে প্রতারণা মূলহোতা গ্রেফতার রাস্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সুজন প্রস্তাবিত জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন চাই তাড়াইলে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত

হরিরামপুরে পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধে ধস, জনমনে আতংক

দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৮৫৬ বার পঠিত

দিপংকর মন্ডল, হরিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি :

উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির তীব্র স্রোত আর কয়েক দিনের টানা বর্ষণে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র আন্ধারমানিক ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষা অস্থায়ী বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে ওই এলাকায় জিও ব্যাগ ধসে মাটি বের হয়ে আসে। এতে তীব্র ভাঙন আতংকে পড়েছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, ২০০৯ সালের দিকে পদ্মা ভাঙন রোধে খালপাড় বয়ড়া ও ভাওড়ডাঙ্গী এলাকায় বেশ কয়েক কিলোমিটার সিসি ব্লক ফেলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাকি এলাকা ২০১৬ সাল থেকে উপজেলার ধূলশুড়া থেকে কাঞ্চনপুর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। তাতেও যেন থামছে না পদ্মার করাল গ্রাস। প্রতি বছরই কোনো না কোনো এলাকায় ভাঙন দেখা দিচ্ছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত বাড়ি, জমিজমাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

চলতি বর্ষা মৌসুমে পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে তীব্র স্রোতে আবারও নদীতীর রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে আপদকালীন জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে অস্থায়ী নয়, ভাঙন রোধে স্থায়ী বেরিবাঁধের দাবি স্থানীয়দের।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দীন জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে প্রবল স্রোতে কিছু কিছু জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। এর ফলে জরুরি ভিত্তিতে উপজেলার আন্দারমানিক ঘাট সংলগ্ন এলাকার উজানে এবং ভাটিতে প্রায় ৩০০ মিটার ভাঙনকবলিত অংশে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও-ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান আছে। এ বছর বন্যার তীব্রতা বিগত সময়ের থেকে বেশি হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে হয়ত বিভিন্ন অংশে আরও ভাঙন দেখা দিতে পারে। তবে আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে। কোথাও ভাঙন দেখা দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন শুরু করবো, ইনশাআল্লাহ।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..