বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মোরেলগঞ্জে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান: পানগুছি নদীতে প্রশাসনের যৌথ টহল রাজপথ নয় সন্মান নিয়ে শ্রেণি কক্ষে ফেরার ব্যবস্থা চায় সন্মানিত শিক্ষক সমাজ ! চিলমারীতে মিথ্যা মামলায় আটক জেলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন বেতাগীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত রংপুরসহ আট বিভাগকে প্রদেশ ঘোষণার দাবি কুড়িগ্রামে ভ্যান ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু উলিপুরে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক -কর্মচারীদের কর্ম বিরতি, বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। করিমগঞ্জে নবীন বরন, সংবর্ধনা, বিতর্ক, আলোচনা ও অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত আমতলীতে নবম শ্রেণির ছাত্রের যুদ্ধবিমান আবিষ্কার, অর্থসংকটে থেমে আছে সিফাতের স্বপ্নযাত্রা আমতলীতে জাকের পার্টির সাংগঠনিক জনসভা, র‌্যালি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে হত্যা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৭৮৫ বার পঠিত
ছবি: সংগৃহীত

ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় প্রধান আসামীকে মৃত্যুদন্ড দুইলাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ও সহযোগী আসামীকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত। বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পূঁজাখোলা ইসলামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে মোঃ হৃদয় খান (২০)। তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম (১৯)। রায় ঘোষনার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু আদালতের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।

জানাগেছে, ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী ওই দুই আসামী হৃদয় ও জাহিদুলের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন তার ১২ বছরের মেয়েকে (তানজিলা) ঘরে রেখে ৫ ফেব্রুয়ারী সকালে ঘুম থেকে জেগে পাশের বাড়ির ক্ষেতে শাক তুলতে যায়। কিন্তু ঘরে ফিরে মেয়েকে পায়নি। দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় তার বাবা ও মা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। পরের দিন ৬ ফেব্রুয়ারী বাবা বাদি আমতলী থানায় সাধারণ ডাইরী করেন। বাদির ছেলে ইমরান তার বাবাকে জানায় তার ফোনে অজ্ঞাতনামা একজন মেসেজ দিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। মুক্তিপণ দিলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ছেড়ে দিবে। বাদি বিষয়টি পুলিশকে জানান। ওই ম‌্যাসেজের সুত্রধরে পুলিশ প্রধান আসামী হৃদয় খানকে ৭ ফেব্রুয়ারী গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন ৫ ফেব্রুয়ারী বাদির মেয়েকে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে আমতলীর একই এলাকার নূর মোহাম্মাদ খানের বাড়ীর সামনে হোগল পাতার মধ্যে নিয়ে ধর্ষন করে। ধর্ষণের কথা বলে দিতে পারে এমন আশংকায় ওই মেয়ের হিজাব দিয়ে হৃদয় গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। আসামী হৃদয় আমতলীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের নিকট ৮ ফেব্রুয়ারী স্বীকারোক্তিমুলক জবান বন্দি দেয়। হৃদয় খানের দেখানো মতে পুলিশ মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে।

বাদি বলেন, আমার নাবালিকা মেয়েকে আসামী হৃদয় অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী করে। মুক্তিপণ না পেয়ে ধর্ষণের শেষে হত্যা করে লাশ হোগল পাতার মধ্যে দুইজনে লুকিয়ে রাখে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। তিনি আরো বলেন, দ্রুত রায় বাস্তবায়ন হলে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।

আসামী পক্ষের আইনজীবী আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, বাদি অভিযোগ করেছে তার মেয়েকে অপহরণের পরে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত নেই। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল উচ্চ আদালতে আপীল করবে।

বরগুনা নারী ও শিশু আদালতের আইনজীবি ( রাষ্টপক্ষের বিশেষ পিপি) রনজুয়ারা সিপু বলেন, একটি জঘন্য অপরাধ। ১২ বছরের একটি ছোট মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ শেষে হত‌্যা করেছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..