শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা পশু নয়, কোরবানি হোক অহংকার হিংসা অবিচারের : আসিফ মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা জন্মদিনে মৃত্যু, বিবাহবার্ষিকীতে দাফন; এএক হৃদয়বিদারক বিদায়ের গল্প ছোটদের বড় ভাবনা: রাজধানীর পরিবেশ দূষণ নিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উদ্রেক মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংগঠিত মিথ্যাচারের খতিয়ান প্রকাশ বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য: সুপ্রিম কোর্ট আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল বাংলাদেশি হাজীরা

এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নুসরাতের লালিত স্বপ্ন পূরণের গল্প সবার মুখে মুখে

রায়হান চৌধুরী (কুমিল্লা প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৮৯৩ বার পঠিত

মুরাদনগর উপজেলা সদরের নিমাইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নোমান আহমেদ কামারচর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ড কালিন শিক্ষক। চার সন্তানের মধ্যে উম্মে নুসরাত মীম তৃতীয়। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ২৬৮৪তম হয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়াতে নির্বাচিত হয়েছে মীম। সে মুরাদনগর উপজেলার কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। অদম্য মেধাবী মীমের সফলতার গল্প এখন কলেজের ও স্থানীয়দের মুখে মুখে। ইচ্ছা শক্তির কাছে অভাব যে কোন বাধা নয়, তার প্রত্যক্ষ উদারহণ হচ্ছে মীম। পরিবার ও কলেজ শিক্ষকদের দেয়া সাহস ছিলো তার পাথেয়। স্বজনদের সহযোগীতায় ভর্তির ব্যবস্থা হলেও বই কেনা নিয়ে আছেন টেনশনে।

মীমের পিতা নোমান আহমেদ বলেন, অনেকেই ছেলে মেয়েদের ঢাকায় পাঠায়। মেয়েকে নিজের কাছে রেখেছি, সবসময় ভালোমন্দ খোঁজ রাখতে পারবো। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিলো মেডিকেলে পড়বে। ডাক্তার হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আমার বড় মেয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়াতে ছেলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। খন্ডকালিন শিক্ষকতা থেকে যত সামান্য টাকা পাই। আর টিউশনি করে ছেলে মেয়েদের পড়ার খরচ চালাই।

উম্মে নুসরাত মীম বলেন, নিজের পড়াগুলোকে নিজেরই শেষ করতে হবে। অন্যের আশায় বসে থাকলে হবেনা। কলেজের শিক্ষকরা আমাকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। কখনো মনে হয়নি আমি গ্রামের কলেজে পড়ছি। মোবাইলে খুব কম সময় থেকেছি। ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করাই আমার প্রত্যয়।

মুরাদনগর কাজী নোমান আহমেদ কলেজের অধ্যক্ষ সাদেকুল ইসলাম বলেন, উম্মে নুসরাত মীম কলেজে অনুপস্থিতি করতেন না। শিক্ষকদের দেয়া নির্দেশ মতোই চলতো। তার সাফল্যের গল্প এখন সকল শিক্ষক ও ছাত্রের মুখে মুখে। তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূইঁয়া জনী মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কলেজের শিক্ষার মান ত্বরান্তিত হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..