বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নান্দাইল উপজেলা ব্লাড ডোনেট সোসাইটির উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন মুরাদনগর বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী মুরাদনগরে বিষাক্ত মদ পানে ২ জনের মৃত্যু চিলাহাটি রেল দুর্নীতি: পিডি আব্দুর রহিম ও ক্যাসেল কনস্ট্রাকশনের কারসাজিতে ২৩ কোটি টাকা উধাও গাইবান্ধায় বাকি না দেওয়ায় গুলি, আহত ২ রংপুরে বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত আমতলীতে বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত যুবদল নেতা চিলাহাটি রেল দুর্নীতি: পিডি আব্দুর রহিম ও ক্যাসেল কনস্ট্রাকশনের কারসাজিতে ২৩ কোটি টাকা উধাও সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বেতাগীতে মানববন্ধন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সমাজ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে পারে, দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ফয়েজ উল্যাহর ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ৫৮৫৩ বার পঠিত

শরিয়তপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার এ.কে.এম ফয়েজ উল্যাহর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল রবিবার মামলাটি করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এ.কে.এম ফয়েজ উল্যাহ নিবন্ধন অধিদপ্তরের অধীনে সাব-রেজিস্ট্রার পদে মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন।

অনুসন্ধানকালে ২০১০-২০১১ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত ১৫ বছরে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ২৮ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তার উল্লেখযোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে বসুন্ধরা, বনশ্রী, গেন্ডারিয়া, বাড্ডা, লক্ষ্মীবাজার ও উত্তরায় রাজউকের জমি এবং ফ্ল্যাট।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ওই সময়ে তিনি বেতন, বাড়ি ভাড়া প্রাপ্তি, এফডিআর ও অন্যান্য ব্যাংক জমার সুদ, কৃষি খাত থেকে এবং জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রি হতে মোট আয় করেন ৪ কোটি ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮৬১ টাকা এবং আয়কর পরিশোধসহ মোট পারিবারিক ব্যয় করেন ৮৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৫ টাকা। ওই সময়ের মধ্যে তিনি ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ ১৯ এর ‘এ’ ধারা ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করে সাদা করেছেন।

তবে ওই টাকার মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার উৎস সম্পর্কে তিনি গ্রহণযোগ্য প্রমাণ দিতে পারেননি।

এদিকে স্থাবর-অস্থাবরসহ অর্জিত ৯ কোটি ২ লাখ ২৮ হাজার ১৬৯ টাকার সম্পদের ৫ কোটি ৮৮ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬১ টাকার বৈধ উৎস পাওয়া গেলেও ৩ কোটি ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩০৮ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..