বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সরকারি বাঙলা কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কৃষকদের দেয়া সরকারি প্রনোদনা কালোবাজারিতে বিক্রির অভিযোগ মুরাদনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত মুরাদনগরে শ্রমিক গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ মির্জাগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত তরুণ নির্মাতা মনজিল হাসানের নাটকে মোশাররফ করিম ও তানিয়া বৃষ্টি তাড়াইলে ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান ভূঁইয়া অনু ফ্যমিলি ফাউন্ডেশনের বৃত্তি প্রদান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপহার বিতরন নান্দাইলে বধ্যভূমিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান সরকারি বাঙলা কলেজে ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস-২০২৫ পালন

ডেঙ্গু বাড়ায় হাসপাতালের শয্যা সংকটের শঙ্কা স্বাস্থ্য সচিবের

হেলথ ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ৬১২৯ বার পঠিত

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সভা শেষে তিনি বলেন, “প্রতিদিনই নতুন রোগী হাসপাতালে আসছে। হাসপাতালগুলোতে সিট না থাকলেও রোগীরা আসছে। কিন্তু আমরা তো তাদের ফেরত পাঠাতে পারি না। মেঝেতে হলেও তাদের জায়গা দিচ্ছি, চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।”

এ বছর এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়া রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৬ হাজার ৩৮ জনে; তাদের মধ্যে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অক্টোবরের প্রথম ১৭ দিনেই ৯ হাজার ৯৪৬ জন রোগী হাসপাতালে গেছেন, পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। দুটোই এবছর এক মাসের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৪ জন, যাদের ২ হাজার ১৫ জন ঢাকায়, বাকি ৯৮৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৮৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে গেছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫২৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ৩৩৪ জন। গত এক দিনে মারা গেছেন ২ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হন, কেবল তাদেরই তথ্য আসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হননি, এমন ব্যক্তিরা সরকারের হিসাবের বাইরেই থেকে যান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হতে দেরির কারণে মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে। তাছাড়া ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল, তাতেও মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, “রোগী বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজনে আলাদা ইউনিট খুলতে হবে। বৃষ্টি আর কদিন থাকবে জানি না। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তাহলে হয়ত ডেঙ্গু কমে যাবে। কিন্তু এখন ট্রেন্ড উপরের দিকে…

“২০১৯ সালে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়ে সারাদেশে একটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছিলাম আমরা, সেটা হতে দেওয়া যাবে না। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় আমরা সতর্ক থাকব।”

হাসপাতালে মশারি ব্যবহারে জোর দিয়ে সচিব বলেন, “আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে ইউনিট চালু করা, পর্যাপ্ত ওষুধ এবং অন্যান্য সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে মশারি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। রোগী যদি মশারি না নিয়ে আসে, তাহলে হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থা করে দিতে হবে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক, জেলার সিভিল সার্জন, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..